কাশী কথাটা এসেছে কাশ থেকে । যার প্রকৃত অর্থ জ্বলজ্বল করা । কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির হিন্দু তীর্থক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম । সেই মন্দির নিয়েই কিছু স্বল্প খ্যাত তথ্য ।
মন্দিরের ১৫.৫ মিটার উঁচু চূড়াটি সোনায় মোড়া। তাই মন্দিরটিকে স্বর্ণমন্দিরও বলা হয়ে থাকে। ১৮৩৫ সালে পাঞ্জাবের শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিংহ মন্দিরের চূড়াটি ১০০০ কিলোগ্রাম সোনা দিয়ে মুড়ে দেন।
১৬৬৯ সালে আওরঙ্গজেব পুনরায় মন্দিরটি ধ্বংস করে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করান। এই মসজিদটি আজও মন্দিরের পাশে অবস্থিত। মসজিদের পিছনে পুরনো মন্দিরের কিছু ধ্বংসাবশেষ আজও দেখা যায়।
কাশী বিশ্বনাথ দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গর মধ্যে অন্যতম । কথিত‚ স্বয়ং মহাদেব নিজে এখানে বসবাস করতেন । মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব এই মন্দির আক্রমণ করেছিলেন ।
তাঁর হামলা থেকে শিবলিঙ্গকে বাঁচাতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল গোপন স্থানে । বলা হয়‚ একটি কুয়োর মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয় । সেই কুয়োর নাম এখন হল জ্ঞান ভাপী ।
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণ এবং পুনর্নিমাণে অনেকে সাহায্য করেছেন । সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল ইন্দোরের রানি অহল্যাবাই হোলকারের অবদান ।১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর তৈরি করে দিয়েছিলেন। তিনি এই মন্দির নির্মাণে বিশাল অঙ্কের অর্থ দান করেছিলেন ।
প্রচলিত বিশ্বাস‚ পৃথিবী সৃষ্টির সময় সূর্যের প্রথম রশ্মি স্পর্শ করেছিল কাশীর ভূমি । স্বয়ং মহাদেব এই নগরীর অভিভাবক এবং রক্ষাকর্তা । বিশ্বনাথ মন্দিরের মাথায় একটি সোনার ছত্র আছে । ভক্তদের বিশ্বাস‚ এই ছত্রের দিকে তাকিয়ে মনে মনে কিছু প্রার্থনা করলে তা পূর্ণ হয় ।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ঘিরে কিছু অজানা এবং চমকপ্রদ তথ্য !
Reviewed by Admin Amit
on
January 31, 2018
Rating:
No comments: