কালী কথার অর্থ কৃষ্ণ বা ঘোর বর্ন। দূর্গার আরেক রূপ হিসেবে কালীকে গন্য করা হয়। এই কালী মায়ের নানারূপ আছে যেমন-ভদ্রকালী, রক্ষাকালী। কিন্তু হিন্দু গৃহস্থে আরাধ্য দেবতা হিসেবে কালীর স্হান দেওয়া হয়। মনের ভক্তিভাব, শুদ্ধতা, একচিত্তে প্রার্থনা করা হলে নানা মনস্কামনা পূর্ন হয়, সর্বোপরি সাংসারিক জীবনে শুভ।
এই প্রতিবেদন আপনাকে জানাবে কীকরে পুজো করলে, কী উপায় অবলম্বন করলে তার আপনার সংসারে কৃপাদৃষ্টি বর্ষিত হবে।
কামাখ্যা মায়ের লীলা
কথিত আছে, সতীর আত্মহুতি দিলে বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্র দ্বারা সতী দেবীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখণ্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং গড়ে ওঠে পবিত্র পীঠস্থান। কামাখ্যায় মায়ের যোনি পতিত হয়েছিল, এটি একটি গুহা এবং এখানে একটি গর্ত আছে যেখানে ভূগর্ভস্থ প্রস্রবণের জল বেরিয়ে গর্তটি ভর্তি রাখে। বছরে একটি সময়ে সাদা কাপড় গর্ভগৃহে পেতে দেওয়া থাকে এবং যথাসময় সেটি লাল বর্ন ধারন করে যা রক্তবস্র নামে পরিচিত। প্রভুর এই লীলা খেলা দেখার জন্য বহু মানুষের সমাগম হয়। এই বস্ত্র যদি গৃহে রাখা হয় তবে সেটি সুরক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে। বাইরের অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে।
কথিত আছে, সতীর আত্মহুতি দিলে বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্র দ্বারা সতী দেবীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখণ্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং গড়ে ওঠে পবিত্র পীঠস্থান। কামাখ্যায় মায়ের যোনি পতিত হয়েছিল, এটি একটি গুহা এবং এখানে একটি গর্ত আছে যেখানে ভূগর্ভস্থ প্রস্রবণের জল বেরিয়ে গর্তটি ভর্তি রাখে। বছরে একটি সময়ে সাদা কাপড় গর্ভগৃহে পেতে দেওয়া থাকে এবং যথাসময় সেটি লাল বর্ন ধারন করে যা রক্তবস্র নামে পরিচিত। প্রভুর এই লীলা খেলা দেখার জন্য বহু মানুষের সমাগম হয়। এই বস্ত্র যদি গৃহে রাখা হয় তবে সেটি সুরক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে। বাইরের অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে।
মায়ের চরনের সিঁদুর
যে কোনো এঁয়ো মহিলার কাছে সিঁদুর একটি পবিত্র বস্তু, স্বামীর মঙ্গল কামনার্থে গৃহিণীরা এটি পরিধান করেন। দেবীর চরণে অর্পিত সিঁদুর যদি প্রতিদিন সিঁথিতে ঠেকানো হয় এবং ঠাকুরঘরে একটি কৌটোতে এটি রাখা হয় তবে গৃহে স্বামীর সঙ্গে সকলের মঙ্গল হয় এবং গৃহে কল্যাণ আসে।
যে কোনো এঁয়ো মহিলার কাছে সিঁদুর একটি পবিত্র বস্তু, স্বামীর মঙ্গল কামনার্থে গৃহিণীরা এটি পরিধান করেন। দেবীর চরণে অর্পিত সিঁদুর যদি প্রতিদিন সিঁথিতে ঠেকানো হয় এবং ঠাকুরঘরে একটি কৌটোতে এটি রাখা হয় তবে গৃহে স্বামীর সঙ্গে সকলের মঙ্গল হয় এবং গৃহে কল্যাণ আসে।
জবাফুল
মায়ের পায়ে কাছে অর্পন করা জবাফুল যদি পুষ্প হিসেবে কোনো কাপড়ে বেঁধে ঘরে পূর্ব কোনে রাখা হয় তবে গৃহে অশুভ শক্তির প্রবেশ হয়না, আবার প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার মায়ের চরনে যদি অর্ঘ্য হিসেবে জবাফুল দিয়ে পুজা করা হয় তবে মা তুষ্ট থাকেন এবং মায়ের আর্শীবাদ গৃহে বিরাজ করবে।
মায়ের পায়ে কাছে অর্পন করা জবাফুল যদি পুষ্প হিসেবে কোনো কাপড়ে বেঁধে ঘরে পূর্ব কোনে রাখা হয় তবে গৃহে অশুভ শক্তির প্রবেশ হয়না, আবার প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার মায়ের চরনে যদি অর্ঘ্য হিসেবে জবাফুল দিয়ে পুজা করা হয় তবে মা তুষ্ট থাকেন এবং মায়ের আর্শীবাদ গৃহে বিরাজ করবে।
মায়ের চরণ
অনেক দোকানে দেখা যায় ছোট আকারের মায়ের চরণ কিনতে পাওয়া যায়, সেটি কিনে যদি প্রতিদিন শুদ্ধ কাপড়ে পুষ্প দেওয়া হয় তবে মায়ের কৃপাদৃষ্টি আপনার গৃহে সর্বদা বিরাজিত হবে।
অনেক দোকানে দেখা যায় ছোট আকারের মায়ের চরণ কিনতে পাওয়া যায়, সেটি কিনে যদি প্রতিদিন শুদ্ধ কাপড়ে পুষ্প দেওয়া হয় তবে মায়ের কৃপাদৃষ্টি আপনার গৃহে সর্বদা বিরাজিত হবে।
মায়ের অস্ত্র
অস্ত্র দিয়েই যেকোনো দেব-দেবী অসুর নিধনে ব্রতী হয়েছিলেন, এই অসুর অশুভ শক্তির প্রতীক আর অস্ত্র অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক; তাই যদি গৃহে মায়ের অস্ত্র খর্গ ঘরে এক কোনে রাখা হয় তাহলে কোনো কুদৃষ্টি পড়তে পারে না। কালী শক্তির দেবী রূপে পরিচিত আদ্যাশক্তি হিসেবে পূজিত হন তিনি; অতএব যদি মায়ের অস্ত্র গৃহে স্থান পায় এবং নিয়মিত সেখানে পুষ্প ঠেকানো হয় ও সিঁদুরের প্রলেপ দেওয়া হয় তবে যেকোনো অশুভদৃষ্টি বিতাড়িত করে, সংসারে শান্তি আনে।
অস্ত্র দিয়েই যেকোনো দেব-দেবী অসুর নিধনে ব্রতী হয়েছিলেন, এই অসুর অশুভ শক্তির প্রতীক আর অস্ত্র অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক; তাই যদি গৃহে মায়ের অস্ত্র খর্গ ঘরে এক কোনে রাখা হয় তাহলে কোনো কুদৃষ্টি পড়তে পারে না। কালী শক্তির দেবী রূপে পরিচিত আদ্যাশক্তি হিসেবে পূজিত হন তিনি; অতএব যদি মায়ের অস্ত্র গৃহে স্থান পায় এবং নিয়মিত সেখানে পুষ্প ঠেকানো হয় ও সিঁদুরের প্রলেপ দেওয়া হয় তবে যেকোনো অশুভদৃষ্টি বিতাড়িত করে, সংসারে শান্তি আনে।
মায়ের মূর্তি
মায়ের মূর্তির ছবি গলায় যদি লকেট হিসেবে পরিধান করা হয় সেই মানুষের ওপর কোনো কেউ অশুভবিদ্যা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হবে।
মায়ের মূর্তির ছবি গলায় যদি লকেট হিসেবে পরিধান করা হয় সেই মানুষের ওপর কোনো কেউ অশুভবিদ্যা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হবে।
মায়ের বস্ত্র
মায়ের বস্ত্র বা তার টুকরো ঠাকুরের কাছে রাখা হয় তবে গৃহে ক্ষতির কবল থেকে অনেকাংশে মুক্ত হওয়া যায়। খাদ্যাভাব দূর হয়। সর্বপ্রয়োজনীয় বিষয় মনের ভক্তিভাব, নিষ্ঠা, পবিত্রতা, মনের বিশুদ্ধভাব। দেবতার প্রতি বিশ্বাসের দ্বারা সংসারে কল্যাণ আনা সম্ভব।
মায়ের বস্ত্র বা তার টুকরো ঠাকুরের কাছে রাখা হয় তবে গৃহে ক্ষতির কবল থেকে অনেকাংশে মুক্ত হওয়া যায়। খাদ্যাভাব দূর হয়। সর্বপ্রয়োজনীয় বিষয় মনের ভক্তিভাব, নিষ্ঠা, পবিত্রতা, মনের বিশুদ্ধভাব। দেবতার প্রতি বিশ্বাসের দ্বারা সংসারে কল্যাণ আনা সম্ভব।
মা কালির এই জিনিসগুলো ঘরে রাখলে দূর হবে আর্থিক ও মানসিক সমস্যা
Reviewed by Admin Amit
on
July 07, 2018
Rating:
No comments: