মন্দির হল শান্তির বার্তাবাহক। দলে দলে মানুষেরা যায় সেখানে মনষ্কামনা পূরণ করতে। এই সমস্ত মন্দির তৈরির পিছনে থাকেন কোনও না কোনও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। কিন্তু আপনি কি কখনও শুনেছেন ভূত মন্দির তৈরি করে? অবাক হবেন না। ভারতের মিরাটের সিমভাওয়ালি দাতিয়ানা গ্রামে রয়েছে একটি বিশেষ শিব মন্দির। যেটি তৈরির পিছনে রয়েছে এক রহস্য। এই মন্দির নির্মাতা নাকি কোনও অতৃপ্ত আত্মা। এই মন্দিরটির নাম ভূতোনওয়ালা মন্দির।
কথিত আছে, এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল নাকি সারারাত ধরে তৈরি করেছিল অতৃপ্ত আত্মা। লাল পাথরের তৈরি মন্দিরটিতে কোনও সিমেন্টের ব্যবহার করা হয়নি। এই মন্দিরটি প্রায় হাজার বছরের পুরোনো। এই মন্দিরের চূড়াতেই শুধুমাত্র বৃষ্টির জল পরে। যদিও এই বিষয়টি বিশ্বাস করেন না গ্রামের বাসিন্দারা।
মন্দিরের এক কর্মকর্তার মতে, রাতের বেলায় এই মন্দির তৈরি করত অতৃপ্ত আত্মারা। কিন্তু সম্পূর্ণ মন্দিরটি রাতের মধ্যে তৈরি হয়ে গেলেও মন্দিরটির চূড়াটি তৈরি হওয়ার আগেই সূর্যোদয় হওয়ায় তেনারা নাকি পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে ১৯৮০সালে ফের গ্রামের বাসিন্দারা মন্দিরটি তৈরি করে।
অতৃপ্ত আত্মাদের তৈরি এই মন্দিরটি কি কোনও ক্ষতি করে গ্রামের বাসিন্দাদের? এই প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীরা জানান, একেবারেই নয়। বরং এই মন্দিরটিই নাকি সমস্তরকম সমস্যা থেকে রক্ষা করে। খরা, বন্যার মতন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে এটি। তবে, যাই হোক না কেন মিরাটের এই ভুতূড়ে মন্দির দেখতে উৎসুখ দর্শকদের ভিড় উপচে পরে।
ভূতেদের তৈরি জাগ্রত এই মন্দির!
Reviewed by Admin Amit
on
January 18, 2018
Rating:
No comments: