জীবনের কোনও না কোনও সময় অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখিন কম-বেশি সবাইকেই হতে হয়। কোন কোনও সময় তো পকেট এতটাই খালি হয়ে যায় যে সুখ-শান্তি ঘরের জানলা দিয়ে দূরে পালায়।
এমন পরিস্থিতিতে অবস্থার পরিবর্তন কীভাবে সম্ভব জানা আছে? হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে অর্থৈনিতক সমস্যা চলাকালীন যদি নিয়মিত কুবের মন্ত্র পাঠ করা যায়, তাহলে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে একেবারেই সময় লাগে না।
প্রসঙ্গত, কুবের হলেন ধনের দেবতা। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রে এমন শক্তি আছে যে নিয়মিত বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করলে বাস্তবিকই অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মন শান্ত এবং সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, নিয়মিত কুবের মন্ত্র পাঠ করলে যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...
প্রসঙ্গত, কুবের হলেন ধনের দেবতা। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রে এমন শক্তি আছে যে নিয়মিত বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করলে বাস্তবিকই অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে মন শান্ত এবং সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। ফলে জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, নিয়মিত কুবের মন্ত্র পাঠ করলে যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল...
১. মন শান্ত হয়: এক মনে এই মন্ত্র জপ করা শুরু করলে ধীরে ধীরে মন শান্ত হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে থাকা চক্রগুলি এত মাত্রায় অ্যাকটিভ হয়ে যায় যে মস্তিষ্কের ক্ষমতাও বাড়তে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়, বিশ্বাসের সঙ্গে এই মন্ত্র পাঠ করলে ভগবান কুবের মুগ্ধ হয়। ফলে পকেট খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে!
২. কুবের এবং শিব: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কুবের মন্ত্র পাঠ করার পাশাপাশি যদি ভগবান শিবের পূজা করা যায়, তাহলে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ দেবাদিদেব হলেন কুবেরের খুব ভাল বন্ধু। তাই তো দুই বন্ধুর পূজা এক সঙ্গে করলে দ্রুত উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩. কর্মের দোষ কাটতে থাকে: নিয়মিত কুবের মন্ত্র পাঠ করা শুরু করলে গত জন্মে হওয়া পাপের শাস্তি থেকে মুক্তি মেলে। ফলে কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু বইয়ে এমনটা উল্লেখ পাওয়া যায় যে আমাদের কর্মের প্রভাবেও অনেক সময় অর্থনৈতিক সমস্য়ার সম্মুখিন হতে হয়। তাই কর্মের দোষ কাটলে জীবন আলোকিত হয়ে উঠতেও সময় লাগে না।
৪. ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা যায় কমে: সঞ্চিত অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করা যায়, এই সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত ঠিক মতো না নিলেও অনেক সময় অর্তৈনিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। এমন ক্ষেত্রেও এই মন্ত্র নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। কীভাবে? নিয়মিত কুবের মন্ত্র পাঠ করলে যে শুধু অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটে, এমন নয়। সেই সঙ্গে টাকা সম্পর্কিত ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। ফলে সুখ কখনও সঙ্গ ছাড়ে না।
৫. খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচায়: আমাদের জীবনে খারাপ কিছু যে সব সময় আমাদের ভুলের কারণেই ঘটে এমন নয়। খারাপ দৃষ্টির প্রভাবেও এমনটা হয়ে থাকে। তাই তো "ইভিল আই" থেকে বাঁচতেও কুবের মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করলে বাস্তবিকই খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা কমে।
৬. দান করুন: ভগবান কুবের তাদের খুব পাছন্দ করেন যারা হাজারো কষ্টের মধ্যেও অন্যের পাশে দাঁড়ায়। বিপদের সময় নিজের কথা ভুলে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। তাই নিজের ক্ষমতার মধ্যে থেকেই অন্যকে সাহায্য করুন। সেই সঙ্গে কুবের মন্ত্র জপ করা শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন অবস্থার পরিবর্তন আসবেই আসবে!
কুবের মন্ত্র: দ্রুত যদি ফল পেতে চান, তাহলে যে মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, সেদি হল, "ওম শ্রিম ওম হ্রিম শ্রিম, ওম হিম শ্রিম ক্লিম ভিটিটশ্বরায়াহ নামাহ!" এই মন্ত্রটির অর্থ হল হে ভগবান কুবের আমি আপনার সামনে মাথা নত করছি। দয়াকরে আপনি আর্শিবাদ করুন। জীবনকে করে তুলুন সমৃদ্ধ এবং বিপদ মুক্ত! কখন এই মন্ত্রটি পাঠ করা উচিত? দিনের যে কোনও সময় এই মন্ত্র পাঠ করা যেতে পারে। তবে বিকাল এবং রাতের বেলা করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, ধনতেরাস, কালি পূজা, অক্ষয় তৃতীয়া এবং গ্রহণের দিন এই মন্ত্রটি পাঠ করলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। তাহলে আর অপেক্ষা কেন বন্ধুরা। নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার যদি উন্নতি ঘটাতে চান, তাহলে আজ থেকেই পাঠ করা শুরু করুন এই শক্তিশালী মন্ত্র!
এই মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করলে কমবে অর্থনৈতিক সমস্যা
Reviewed by Admin Amit
on
March 04, 2018
Rating:
No comments: