এই মন্দিরে মানত করে চিঠি লিখলে পূরণ হবে মনের আশা

 


 আপনি ঈশ্বরবিশ্বাসী? নিজের সুখ-দুঃখের কথা জানাতে ভগবানের কাছে পুজো-প্রার্থনা তো নিয়মিত করেন। কিন্তু ঈশ্বরকে চিঠি লিখেছেন কখনও?
সরাসরি চিঠি লিখে নিজের সুবিধে-অসুবিধের কথা জানিয়েছেন? ভাবছেন, এ আবার কী? ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা যায়, কিন্তু চিঠি লেখা যায় নাকি?  যায়। রাজস্থানের রণথম্বোরে সোয়াই মাঝোপুরের গণেশ মন্দিরে যায় বৈকি।
এই মন্দিরে গমপতি বাপ্পার কাছে চিঠি লিখে নিজেদের কথা জানায় ভক্তরা। সেই সব চিঠির মধ্যে আবেদন-নিবেদন, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এমনকি আইনি আবেদনও থাকে। সব চিটি গণেশ মুর্তির পায়ের কাথে রেখে দেন পূজারীরা। দিনের একটা সময়ে সব চিঠি গণেশ মুর্তির সামনে বসে তাঁরা পড়ে শোনান।
এ ভাবেই ঈশ্বরের কাছে মনের কথা পৌঁছে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই মন্দিরের আরও একটি বিশেষত্ব হল গণেশ এখানে ত্রিনেত্র। গণেশের তিনটি চোখ রয়েছে এখানে। তাই এই মন্দিরকে ত্রিনেত্র মন্দিরও বলা হয়ে থাকে। 
রণথম্বোরের গণেশ মন্দিরের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। মহারাজ হামীরের সঙ্গে আলাউদ্দিন খিলজির যুদ্ধ চলছিল। টানা কয়েক বছর ধরে লড়াই চলার পর অস্ত্র, সেনা, রসদ - সব দু-পক্ষেরই ফুরিয়ে এসেছিল। এই অবস্থায় এক রাতে চিন্তিত রাজা হামীর গণপতি বাপ্পার কাছে প্রার্থনা করেন।
সেই রাতেই গণেশকে তিনি স্বপ্নে দেখেন। তিনি দেখেন যে গণেশ তাঁকে সাফল্যের আশীর্বাদ করছেন। পরদিন সকালে হামীরের প্রাসাদের দেওয়ালে একটি তিন চোখের গণেশ মুর্তি ফুটে ওঠে। এর কদিন পরেই যুদ্ধে জয়লাভ করেন হামীর।
এরপরই রণথম্বোরে গণশ মন্দির স্থাপনের নির্দেশ দেন তিনি। শুধু একা গণেশ নন, এখানে একই সঙ্গে পূজিত হন তাঁর দুই স্ত্রী রিদ্ধি ও সিদ্ধি এবং তাঁর দুই ছেলে শুভ ও লভরি।  জীবনে কোনও সমস্যা পিছু না ছাড়লে সোজা চিঠি পাঠিয়ে দিন রণথম্বোরের গণেশ মন্দিরে। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর... 
এই মন্দিরে মানত করে চিঠি লিখলে পূরণ হবে মনের আশা এই মন্দিরে মানত করে চিঠি লিখলে পূরণ হবে মনের আশা Reviewed by Admin Amit on May 14, 2018 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.