এই অঞ্চলটি কলকাতাবাসীদের কাছে প্রিয় সস্তার পানশালা আর মনলোভা চাইনিজ রেস্তোঁরার কারণে।
পানাহার করতে অনেকেই গিয়েছেন এইসব বার এবং রেস্তোঁরায়। কিন্তু তাঁরা কি জানেন যে, এই চত্বরেই রয়েছে আস্ত একটি কালী মন্দির?
ট্যাঙরা অঞ্চলের এই এলাকা পরিচিত চায়না টাউন নামে। কলকাতার আধুনিক চিনা সেটলমেন্ট। কিন্তু বহুদিন ধরেই কলকাতার বাসিন্দা তাঁরা। পুরনো চিনাবাজার ছেড়ে ট্যাঙরায় চলে আসেন পরে।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাঙলি বসতিও বহু প্রাচীন। চাইনিজ সংস্কৃতির সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটার সুযোগ পেয়েছে এই অঞ্চলকে ঘিরে।তারই পরিণামে এখানে গড়ে উঠেছে একটি কালী মন্দির। সেই মন্দির গড়ে ওঠার ইতিহাসও বড় কৌতূহলোদ্দীপক।
প্রায় ৬০ বছর আগে এখানে একটি সিঁদুর মাখা কালো পাথরকে পুজো করা শুরু হয়। কিংবদন্তি অনুসারে, একবার একটি বছর দশেকের গুরুতর অসুস্থ শিশুকে এই পাথরটির কাছে নিয়ে আসেন তার বাবা-মা। ডাক্তারেরাও নাকি জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন শিশুটির ব্যাপারে।
উপায়ান্তর না দেখে শিশুটির বাবা-মা পাথরটির সামনে শিশুটিকে রেখে বিরামহীন পূজার্চনা শুরু করেন। তারপরেই ঘটে মির্যাকল। ছেলেটি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে ওঠে। তারপর থেকেই এই ঠাকুরের খ্যাতি ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। পাথরটিকে কেন্দ্র করে গ্রানাইটের মন্দিরটি গড়ে ওঠে বছর ১২ আগে।
দীপাবলির দিনে কালী পূজা উপলক্ষে প্রায় ২০০০ চীনা মানুষ সমবেত হন এই মন্দির চত্বরে। বিশুদ্ধ হিন্দু মতে সারা হয় পূজা আর পুষ্পাঞ্জলি। কিন্তু ভোগ দেওয়ার সময়ে চলে আসে চাইনিজ সংস্কৃতির ছোঁয়া।
কারণ এখানে ঠাকুরকে ভোগ দেওয়া হয় চাউমিন, চপসি, চিলি চিকেনের মতো বিশুদ্ধ চীনা খাবার। চাইনিজ ধুপকাঠির সুগন্ধে আমোদিত হয়ে ওঠে চতুর্দিক।
কলকাতা বিভিন্ন সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র। সেই সাংস্কৃতিক মিলনেরই আর এক অনুপম দৃষ্টান্ত চাইনিজ কালীবাড়ি।
কলকাতার এই মন্দিরে চাউমিন আর চিলি চিকেনের ভোগ পান মা কালী
Reviewed by Admin Amit
on
May 29, 2018
Rating:
No comments: