একান্ন পীঠের অন্যতম ক্ষীরগ্রামের কালী নঠাকরুন

একান্ন পীঠের অন্যতম ক্ষীরগ্রামের কালী নঠাকরুন

একান্ন পীঠের অন্যতম ক্ষীরগ্রামের কালী নঠাকরুনএকান্ন পীঠের অন্যতম ক্ষীরগ্রামের কালী নঠাকরুন
সূর্যাস্তের পর শুরু হয় ঠাকুর গড়ার কাজ। তারপর হয় পুজো। সেই রাতেই ধ্রুবতারা দেখে বিসর্জন করা হয় দেবীকে। এটাই রীতি বর্ধমানের গ্রাম কুরচির কালী পুজোর। আজ থেকে ৩৬ বছর আগে কুরচির পাশের গ্রাম ক্ষীরগ্রামের জনৈকা অন্নপূর্ণা দেবী কুরচির নঠাকরুনের মন্দিরের পাশ দিয়ে ‌যাওয়ার সময় দেখতে পান, পাশের পুকুরে দেবী নঠাকরুনের বাম হাতের অংশ ভেসে রয়েছে। তারপর থেকেই অন্নপূর্ণা দেবীর হাত ধরে ক্ষীরগ্রামে শুরু হয় নঠাকরুনের পুজো। এপুজোই এই গ্রামের ঐতিহ্যের কালী পুজো। তবে এখানে পুজোর রীতি আলাদা। কুরচি গ্রামের মতো এক রাতেই মূর্তি গড়ে পুজো হয়না। মাটির একচালা মন্দিরে অবস্থান দেবীর। এই দেবীর একটা বৈশিষ্ট্য হল মূর্তি প্রতিষ্ঠা থেকে বিসর্জন অবধি কেউ প্রতিমাকে ছুঁতে পারবেননা।
রায়গুনাকর ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গলের ব্যাখা অনু‌যায়ী ক্ষীরগ্রাম হল সতীর ৫১ পীঠের এক পীঠ। এখানে সতীর ডান পায়ের আঙুল পড়েছিল। ‌যোগ্যাদা দেবীই এখানের প্রাচীন দেবী। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের সংক্রান্তিতে মহামেলা হয় ‌যোগ্যাদা পুজোর সময়। আর এগ্রামের কালী পুজো বলতে বিখ্যাত এই নঠাকরুনের পুজো।
প্রতিবছর পুজোর পরদিন মহোৎসবের আয়োজন হয়। অসংখ্য মানুষ দেবীর প্রসাদ পান। চাল-ডাল ‌জোগার করা হয় ভিক্ষা করেই। ভক্তদের ভোগ খাওয়া শেষ হলে হয় দেবীর বিসর্জন। ক্ষীরগ্রাম ছাড়াও নঠাকরুনের পুজোয় সামিল হন আশেপাশের গ্রামের হাজারো মানুষ।
একান্ন পীঠের অন্যতম ক্ষীরগ্রামের কালী নঠাকরুন একান্ন পীঠের অন্যতম ক্ষীরগ্রামের কালী নঠাকরুন Reviewed by Admin Amit on July 04, 2018 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.