এই শিবলিঙ্গের মাপজোক নিয়মিত রাখে স্থানীয় ভূমিরাজস্ব দফতর। এবং এই মাপজোক নিয়মিত রেকর্ড রাখাও হয়। শুনতে অলৌকিক লাগলেও বিষয়টা যে নির্যস সত্য, তা জানেন তাঁরাই, যাঁরা ভূতেশ্বর শিব স্বচক্ষে দর্শন করেছেন।
ছত্তিশগড়ের গাড়িয়াবান্দ জেলার মারোদা গ্রামের এই সুবিশাল শিবলিঙ্গটিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক শিবলিঙ্গ বলে মনে করা হয়। এর আকার বৃহৎ। কিন্তু সেই কারণে ভূতেশ্বর দ্রষ্টব্য নন।
এই প্রাকৃতিক লিঙ্গটির আসল আকর্ষণ অন্যত্র। সর্বভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই শিবলিঙ্গের উচ্চতা প্রতি বছর ৬-৮ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়।
আপাতত প্রায় ১৮ ফিট উঁচু এবং ২০ ফিট চওড়া এই শিবলিঙ্গের মাপজোক নিয়মিত রাখে স্থানীয় ভূমিরাজস্ব দফতর। এবং এই মাপজোক নিয়মিত রেকর্ড রাখাও হয়।
ভূতেশ্বর, ছবি: ফেসবুক
মারোদা গ্রামের মানুষ নিজের ঘরের লোকের মতোই মনে করেন ভূতেশ্বরকে। তাঁকে ঘিরে যে কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে, তা এই— বহু বছর আগে এই গ্রামে এক জমিদার ছিলেন। তাঁর জমিদারীর এক জায়গায় একটা ঢিবি ছিল। ওই ঢিবি থেকে নাকি প্রায়শই ভেসে আসত সিংহের গর্জন। জমিদার বিষয়টা নিয়ে ভাবিত হন।
তিনি নিজে ওই ঢিবি পরিদর্শন করেন। এবং স্বকর্ণে সেই গর্জন শোনেন। তার পর থেকেই ওই ঢিবিকে পুজো করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। সেই সময়ে ঢিবির আয়তন ছিল নেহাতই ছোট। কিন্তু ক্রমে দেখা যায় ঢিবিটি আকারে-আয়তনে বেড়েই চলেছে। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ‘শিবমহিমা’।
প্রতি শ্রাবণ মাসে ভূতেশ্বরকে পুজো চড়াতে লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। প্রচলিত ধারণা এই যে, শ্রাবণে তাঁকে পুজো দিলে যে কোনও মনস্কামনা পূর্ণ হবেই।
দেবমহিমার পিছনে কি রয়েছে প্রকৃতির কোনও রহস্য? জানা নেই। কারণ এখনও পর্যন্ত ভূতাত্ত্বিকরা তেমন একটা মাথা ঘামাননি ভূতেশ্বরকে নিয়ে। মহাদেব রয়েছেন আপন খেয়ালে।
প্রতি বছরই উচ্চতা বেড়ে চলেছে এই শিবলিঙ্গের, জানুন এর মহিমা
Reviewed by Admin Amit
on
January 15, 2018
Rating:
No comments: